সহায় সম্বলহীন মানুষের পাশে দম্পতি : শুভ উদ‍্যোগে সামিল এলাকাবাসী

12th December 2020 8:05 pm বর্ধমান
সহায় সম্বলহীন মানুষের পাশে দম্পতি : শুভ উদ‍্যোগে সামিল এলাকাবাসী


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কালনা ) :  হাড়কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশায়  বিপর্যস্ত জনজীবন।কনকনে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য অসহায় দরিদ্র মানুষের প্রয়োজন শীতবস্ত্রের।আর সেই কথা ভেবেই অসহায় দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন মন্তেশ্বরের এক দম্পতি শ্রীলা চৌধুরী ও জহরলাল চৌধুরী।শতাধিক কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি শিশুদের পড়াশোনার জন্য তাদের হাতে এইদিন ব্যাগও তুলে দেন তারা।এইরকমই এক প্রশংসনীয় উদ্যোগে খুশি এলাকার মানুষজন সহ সহায়-সম্বলহীন মানুষরা।   অসহায় দরিদ্র মানুষজনকে শৈত্যপ্রবাহের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কম্বল সহ শীতবস্ত্র নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ালেন মন্তেশ্বরের চৌধুরী দম্পতি।শুক্রবার ও শণিবার পরপর দুদিনই মন্তেশ্বর এলাকায় তারা বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি নেন।মন্তেশ্বর ও মেমারী থানা এলাকায় থাকা  শতাধিক অসহায় মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেন শ্রীলা চৌধুরী ও জহরলাল চৌধুরী নামের ওই দম্পতি।ওই দম্পতির বাড়ি মন্তেশ্বর। কিন্তু কর্মসূত্রে তারা কলকাতায় থাকেন।শুধু গ্রামীণ এলাকাতেই নয়,কলকাতাতেও প্রতি বছরই এমনিই কর্মসূচি তারা নেন বলেই জানান।আর এই কাজে তাদেরকে যথেষ্ট উৎসাহ দেন ছেলে শঙ্খ চৌধুরী,মেয়ে শতরুপা চৌধুরী ও বৌমা সৌমালি চৌধুরী।এই বিষয়ে শ্রীলা চৌধুরী বলেন,‘সহায় সম্বলহীন শীতার্ত ব্যক্তিরা না পারে পেট ভরে খেতে,না পারে কোনো অসুখ হলে চিকিৎসা করাতে।শীতের রাতে  শীতবস্ত্রহীন  মানুষজনকে দেখা যায় যে তারা কীভাবে, কেমন করে কষ্টে রাত যাপন করছে।  শীত নিবারণ করার সম্বলটুকুও যাদের নেই তাদের পাশে কম্বল ও শীতবস্ত্র দিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি।এছাড়াও আমরা বেশ কয়েকজন শিশুর জন্য পড়াশোনার ব্যাগও বিতরণ করি।পথচলতি মানুষ ও শিশুদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি আমরা বছরভর নিয়ে থাকি।ক্ষুদ্র সামর্থ্য নিয়ে মানুষের সঙ্গে এইভাবে থাকাটা আমাদের কাছে ভীষণ আনন্দের।এতেই আমরা খুশি।’





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।